কলকাতা: মা আসছেন। এক বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে উমা বাড়ি ফেরেন এই আশ্বিনে। শারদীয়ার কলকাতা শহর মানেই আলোর রোশনাই, জনজোয়ার আর প্যান্ডেল হপিং। শহরের নামজাদা পুজো কমিটিগুলির আকর্ষণীয় থিম দেখতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় করে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। পুজোর থিম ও অভিনবত্বে গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ (Badamtala Ashar Sangha Kalighat)। এ বার তাদের পুজোর বয়স হচ্ছে ৮৭ বছর। এ বার তাদের পুজোর থিম ‘আর্জি’ (দ্য প্রেয়ার)।
হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি পুজোর (Durga Puja 2025)। শহরের বনেদি বাড়ি থেকে পুজোর মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতো এ বারও দুর্গাপুজোর থিম ভাবনায় দর্শনার্থীদের চমক দিতে তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকার বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। উদ্যোক্তারা জানান, সাধারণ মানুষ সুবিচার পেতে ভরসা রাখেন আদালত ও বিচার ব্যবস্থার উপর। কিন্তু, যদি কোনও ভাবে তাঁরা সেখানে নিজেদের ‘আর্জি’ পেশ করতে না পারেন, বা তাঁদের মতানুসারে সুবিচার পেতে ব্যর্থ হন, তখন তাঁরা দ্বারস্থ হন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের। বিচারপ্রার্থী বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর বা ভগবানের আদালতে তিনি এক দিন না এক দিন সুবিচার পাবেনই! সেই ভাবনা থেকেই এ বারের পুজো মণ্ডপ আদালতের অনুকরণে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন আইনের দেবী, রয়েছে প্রতীকী কাঠগড়া।
আরও পড়ুন: শ্যামনগর ভাতৃ সংঘের দুর্গাপুজো, স্বপ্ন ময়ূরের থিমে জমকাবে শহর
এই অনবদ্য থিম ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী সোমনাথ দলুই। পুজোর প্রতিমা নির্মাণ করেছেন শিল্পী পল্লব জানা। এ বারের পুজো মণ্ডপে আবহ সঙ্গীতের বিশেষ গুরুত্ব থাকছে। যত্ন সহকারে সেই সুর নির্মাণ করেছেন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে, প্রতি বারের মতোই এ বছরও বাদামতলা আষাঢ় সংঘ কর্তৃপক্ষ আলোকসজ্জার উপর বাড়তি নজর দিচ্ছে। আলোক শিল্পী প্রবাল বসু।
দেখুন ভিডিও